- ● যেভাবে ‘টেসলা’য় কর্মরত বাংলাদেশের রাফা
- ● A Decade of Recitation Elegance: Bachonik Celebrates 10 Years of Artistic Brilliance
- ● বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুয়েট নাইট অনুষ্ঠিত
- ● ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- ● শনিবারের কলমে হিমাদ্রী: মায়ের “শেখসাব”
- ● সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৫তে, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
- ● গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’
- ● দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশ তরুণ নেতাদের তালিকায় মাশরাফি
- ● ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ ২০২১ পাচ্ছেন যারা
- ● প্রসংশায় ভাসছে জিয়া হাসানের সাথে ঘরোয়া’র স্বত্বাধিকারীর আলাপচারিতা
রাশিয়ার `ডেড রোজ’র সেমিফাইনালে ‘মাদার টাং’
এবারে রাশিয়ায় ‘ডেড রোজ’ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শর্টফিল্ম বিভাগে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছি বাংলাদেশি-কানাডিয়ান নির্মাতা নাদিম ইকবালের ফিল্ম ‘মাদার টাং’।
প্রথম বারের মতো আয়োজিত উৎসবটি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরের ৫ থেকে ৯ পর্যন্ত।
নির্মাতা নাদিম ইকবাল সুখবরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাতৃভাষাকে উপজিব্য করে গড়ে ওঠা সিনেমাটির প্রধান ২ চরিত্রে রয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম কবি আসাদ চৌধুরী এবং তার কানাডা প্রবাসী নাতনি রাইদা ফাইরোজ মিষ্টি।
এ বিষয়ে নির্মাতা নাদিম ইকবাল সুখবরকে বলেন, “ছবিটি যখন শুট করি তখন কেউ জানতেন না, এটি একটি ফিল্মের জন্য ধারণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে আমার একটি সুখ স্মৃতিও রয়েছে। আমার মেয়ে মিষ্টি যখন জানতে পারে এটির দৃশ্য একটি সিনেমার জন্য ধারণ করা হচ্ছে, তখন সে আমাকে বলে, আগে জানলে সে একটু মেকাপ নিতে পারত ”।
সিনেমাটির অনেক সাফল্যের ভিড়ে নাদিম ইকবালের কাছে সবচেয়ে বড় অর্জন, তাঁর কন্যা এখন ঘরে বাংলা উপন্যাস পড়ে বলে জানান তিনি।
সিনেমাটিতে দেখা যায়, বাংলা ভাষার খ্যাতিমান এক লেখক, যার লালিত স্বপ্ন বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতিকে পরম সৌন্দর্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তা হোঁচট খায় যখন তিনি কানাডায় বেড়াতে আসেন। তিনি অবলোকন করেন, যে ভাষার জন্য একদিন রক্ত দিয়েছিলেন তারই সহযোদ্ধারা সেই ভাষা অনেকটাই উপেক্ষিত মাল্টিকালচারের দেশ কানাডায়। নিজ পরিবারের ভিতরেই তিনি তা দেখতে পান। তবু তিনি চেষ্টা করে ভাষাকে বাঁচাতে। তার নাতনীকে নিজের লেখা কাব্য পড়ে শোনান। তিনি জানাতে চান বাংলা ভাষার ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস। কিন্তু দেখা যায়, খুব সহজ বাংলা শব্দ তাদের কাছে অজানা। এমনকি ইতিহাসের গল্পের প্রতিও তাদের মনোযোগ কম। এমনই এক নাটকিয়তার মধ্য দিয়ে পৃথিবী থেকে মাতৃভাষা হারিয়া যাওয়ার গল্প বলার পাশাপাশি মাতৃভাষার মহিমাও বর্ণিত হয়েছে এ ছবিটিতে।
উল্লেখ্য, এর আগে নাদিম ইকবালের সাড়ে বার মিনিট ব্যপ্তির সিনেমা ‘মাদার টাং’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ৪০টি উৎসবে অংশ নিয়েছে। ছবিটি জিতেছে সেরা সিনেমার খেতাবসহ বেশ কিছু পুরস্কার। ইতিমধ্যে এটি জিতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বেস্ট সটস্ কম্পিটিশন, হলিউডের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনডিপেন্ডেন্ট অ্যাওয়ার্ড’, ইম্প্যাক্ট ডকু অ্যাওয়ার্ড, ফেমাস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ‘প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড’, জার্মানির বার্লিনে অ্যারাউন্ড ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল পুরস্কার, স্পট লাইট ডকুমেন্ট্রি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড আটলান্টা, কলকাতার সিআইসিএফএফ থেকে ‘আউট সাইড এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। এছাড়া পুর্তগাল, বেলজিয়াম, ডেনর্মাক ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু উৎসবে ফাইনালিস্ট সিনেমা হিসেবে অংশ নিয়েছে। সম্প্রতি কানাডার সিবিসি নিউজ এ ছবিটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সম্প্রচার করে।
সিনেমাটি দেখতে নীচের লিংকে ক্লিক করুন। সিবিসি নিউজে প্রচারিত অনুষ্ঠানটির পুরো ভিডিও এটি। ‘মাদার টাং’ শর্ট ফিল্মটি দেখা যাবে ২১ মিনিট ১৮ সেকেন্ড থেকে।
https://gem.cbc.ca/media/absolutely-canadian/season-19/episode-28/38e815a-0119eb6cc2c