- ● যেভাবে ‘টেসলা’য় কর্মরত বাংলাদেশের রাফা
- ● A Decade of Recitation Elegance: Bachonik Celebrates 10 Years of Artistic Brilliance
- ● বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুয়েট নাইট অনুষ্ঠিত
- ● ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- ● শনিবারের কলমে হিমাদ্রী: মায়ের “শেখসাব”
- ● সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৫তে, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
- ● গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’
- ● দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশ তরুণ নেতাদের তালিকায় মাশরাফি
- ● ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ ২০২১ পাচ্ছেন যারা
- ● প্রসংশায় ভাসছে জিয়া হাসানের সাথে ঘরোয়া’র স্বত্বাধিকারীর আলাপচারিতা
আবারও বুকার পেলেন ম্যার্গারেট অ্যাটউড
দ্বিতীয় বারের মতো বুকার পুরস্কার জিতেছেন কানাডিয়ান লেখক ম্যার্গারেট অ্যাটউড। তার সঙ্গে যৌথভাবে এ পুরস্কার জিতেছেন অ্যাংলো-নাইজেরীয় লেখক বার্নাডিন এভারিস্তো।
এ বছর পুরস্কারের অর্থ এই দুজনে সমান ভাগে ভাগাভাগি করবেন। সূত্র সিবিসি নিউজ।
অ্যাটউড তার ‘হ্যান্ডমেড টেউল’র সিক্যুয়াল ‘দ্য টেস্টামেন্টস’ বইয়ের জন্য এবারে এ পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ২০০০ সালে ‘দ্য ব্লাইন্ড অ্যাসাসিন’ বইয়ের জন্য তিনি এই পুরস্কার পান। বুকারের ৫০ বছরের ইতিহাসে তিনি চতুর্থ লেখক, যিনি দ্বিতীয়বারের মতো এ পুরস্কার পেলেন। যদিও গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে তাঁর লেখা বেশ কয়েকটি বই বুকারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়ে আসছে।
অন্যদিকে অ্যাংলো-নাইজেরীয় লেখক বার্নাডিন এভারিস্তো ‘গার্ল, উইমেন, আদার’ নামক বইয়ের জন্য বুকার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি এ পুরস্কার জিতেছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে।
পুরস্কার নিতে এভারিস্তোর সঙ্গে মঞ্চে উঠে অ্যাটউড বলেন, ‘আমরা দুজনের কেউ ভাবিনি পুরস্কারটা পাব। আমি অভিভূত। আমি খুশি হয়েছি। অবশ্য একজন ভালো কানাডীয় হিসেবে এটা বলতে হচ্ছে যে, যদি আমি এই মঞ্চে আজ একা থাকতাম, তাহলে সেটা আমার জন্য খানিকটা বিব্রতকর হতো।’
পুরস্কারজয়ের পর এক রেডিও অনুষ্ঠানে এভারিস্তো বলেন, ‘বেশ কয়েকটি পুরস্কার আছে, যা বিশেষ কিছু সম্প্রদায়ের লোকেরা পাননি। বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে থেকে খুব বেশি ব্যক্তি সাহিত্যের পুরস্কারগুলো পাননি। অনেকে হয়তো বিষয়টি লক্ষ করেন না, তবে এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
এভারিস্তো বলেন, ‘এর আগে কোনো কৃষ্ণাঙ্গই বুকার পাননি। তাই আমার মনে হয়, এটি একটি বড় পরিবর্তন। আশা করি, সামনে আরও অনেক কৃষ্ণাঙ্গ নারী এই পুরস্কার জিতবে।’
যদিও এ বছর নিয়ম ভেঙে যৌথভাবে বুকার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালে শেষবার যখন বিচারকমণ্ডলীর রায়ে এই পুরস্কার টাই হয়েছিল অর্থাৎ যৌথভাবে দেয়া হয়েছিল তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ১৯৯৩ সাল থেকে যৌথভাবে এই পুরস্কার আর দেয়া হবে না। কিন্তু এবার পাঁচ ঘণ্টা আলোচনার পরও বিচারকদের পক্ষে একজনকে বেছে নিয়ে অন্যজনকে বাদ দেয়া সম্ভব হয়নি।
নিয়ম ভাঙার বিষয়ে বুকার পুরস্কার নির্বাচক কমিটির এবারের প্রধান পিটার ফ্লোরেন্স বলেন, ‘যৌথ পুরস্কার না দেওয়ার নিয়মটা তোয়াক্কা না করার সিদ্ধান্ত আমরা ভেবেই নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘তাঁদের দুজনের বিষয়ে যতই আলোচনা করছিলাম, ততই বুঝতে পারছিলাম- আমরা সবাই চাই, তাঁরা দুজনেই পুরস্কারটা জিতুক।’