বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুয়েট নাইট অনুষ্ঠিত

By: রাশেদ শাওন ২০২৩-১১-১৫ ১১:২৩:৫৩ পিএম আপডেট: ২০২৪-১১-২১ ১:২০:৫৩ এএম কানাডা
বুয়েট নাইট ২০২৩
বুয়েট নাইট ২০২৩
বুয়েট নাইট ২০২৩
বুয়েট নাইট ২০২৩
বুয়েট নাইট ২০২৩
বুয়েট নাইট ২০২৩
বুয়েট নাইট ২০২৩

গত শনিবার, ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলনী বুয়েট নাইট ২০২৩ অনুষ্ঠিত হল কানাডার অন্যতম বড় শহর টরন্টোতে। এর আয়োজন করে বুয়েট এলামনাই এসোসিয়েশন কানাডা। এসোসিয়েশন’র পরিচালক (সদস্য) আমিনুল হক  এর তত্ত্বাবধানে অভ্যর্থনা ও রেজিষ্ট্রেশন বুথে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, তাদের পরিবারবর্গ ও অতিথিদের অনুষ্ঠানস্থলে স্বাগত জানানো শুরু হয়। সন্ধ্যা সাতটায় ছয়  শতাধিক অভ্যাগতের উপস্থিতিতে মিলনায়তন কানায় কানায় ভরে ওঠে।  সংগঠনটির পরিচালনা কমিটির ডিরেক্টর (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) মনীষ পাল, এসোসিয়েশন এর সদস্য ইফাত আরা এবং নূর ই জান্নাত  সম্মিলিতভাবে  অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

প্রস্তুতি কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং বুয়েট নাইট’র কনভেনর আব্দুস সালাম লায়ন  এ বছরের অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ও অতিথিদের স্বাগত জানান। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সহীদ উদ্দিন হিরণ এবং প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন কানাডায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার ড: খলিলুর রহমান।  অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা আবুল হায়াৎ, টরন্টোর বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসোল জেনারেল লুৎফর রহমান, স্কারবোরো সাউথ ওয়েস্ট’র এমপিপি ডলি বেগম এবং এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অন্টারিওর প্রেসিডেন্ট রেজাউর রহমান। 
 
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন অগ্রজ সদস্যদের মধ্য থেকে ফজলুল হক এবং অনুজদের মধ্য থেকে সিফাত তাসনিম ঐশিক। বুয়েটিয়ান সদস্যদের সন্তানদের মধ্য থেকে দুজন কৃতি শিক্ষার্থীকে পুরষ্কার ও সনদপত্র দেওয়া হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে ইউসুফ আলী তালুকদার, খালেদ আল মামুন এবং এ প্লাস একাডেমির পক্ষ থেকে বাদশা আলম তাদের হাতে সনদ এবং গিফট কার্ড তুলে দেন।  
প্রাক্তন বুয়েটিয়ান কানাডায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পাঁচজন গুণী শিক্ষক এবং একজন প্রকৌশলীদের নিজ নিজ কাজে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্বর্ধনা জানানো হয় ড: মোজাম্মেল খান, ড: খন্দকার আনোয়ার হোসাইন, ড: সফিউদ্দিন, ড: নাসির উদ্দিন, আলী হোসাইন এবং ড: সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদকে।


আয়োজনে আরও বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব আবুল হায়াৎ, অন্টারিওর প্রাদেশিক সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেত্রী এমপিপি ডলি বেগম , কনসাল জেনারেল লুৎফর রহমান, এবিইওর প্রেসিডেন্ট রেজাউর রহমান, এবং অনুষ্ঠানের  প্রধান অতিথি হাই কমিশনার ড: খলিলুর রহমান প্রমুখ। 

তিনি বুয়েট এলামনাই  এসোসিয়েশন কানাডার ব্যানারে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সমবেত করবার উদ্যোগ নেবার জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে সমাপনী  বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সহিদ উদ্দিন হিরণ।  

দ্বিতীয় পর্বে  ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সূচনা পর্বে সমবতে সংগীত পরিবেশন করেন বুয়েট এলামনাই পরিবারের সদস্যরা । কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর কবিতা সৃষ্টি সুখের উল্লাসে আবৃত্তি করেন সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা ড: আলী তারিক। সংগীত পরিবেশন করেন এলামনাই পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে সুমি বর্মন, দ্বৈত কণ্ঠে গোলাম মহিউদ্দিন এবং  ইয়াসমিন খায়ের, শুভ্রা সাহা এবং অনিন্দ্য মন্ডল, পূজা দাস এবং মুনমুন দাস, শাহ আরিফুজ্জামান এবং তাজিন ফাতেমা , মঞ্জুরুল আলম  এবং সারোয়ার হাবিবি। গান গেয়ে শোনান রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ এবং ফরহাদ হোসাইন কচি। অনুষ্ঠানে তবলা সংগত করেন বিশিষ্ট তবলা অপরূপ বড়ুয়া। পূর্ণেন্দু পত্রীর কথোপকথন থেকে ভিন্ন মাত্রার দ্বৈত আবৃত্তি করে শোনান পল্লব ঘোষ এবং নাইমা জান্নাত।  অতিথি শিল্পী সুমনা গাঙ্গুলী এবং স্থানীয় ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় শিল্পী তপু বেশ কিছু গান পরিবেশন করেন। এই পর্বটি সঞ্চলনা করেন ইফাত আরা ও নূর ই জান্নাত।


অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলেন ক্লাইমেট চ্যানেল, প্রবাসী টিভি কানাডা এবং এনআরবি। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিবিএন এর কর্ণধার মাহবুব ওসমানী, দেশে বিদেশে টিভির নজরুল মিন্টো, এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার্স অন্টারিও এর ডিরেক্টর (অ্যাডমিন) হাবিব রহমান, বিশিষ্ট ফটো সাংবাদিক বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব টরন্টোর প্রাক্তন সভাপতি মির্জা শহীদুর রহমান এবং টরন্টোর বিভিন্ন এলামনাই এসোসিয়েশন এর কর্মকর্তা বৃন্দ। পুরো অনুষ্ঠানে আগত এলামনাই সদস্য, পরিবার ও অতিথিদের আলোকচিত্র ধারণ করেন তরুণ ফটোগ্রাফার রাশেদ শাওন।  

শেষ পর্বে  অনুষ্ঠিত হয় রাফেল ড্র। এবারের রাফেল ড্র ছিল ব্যতিক্রম।  বুয়েট আলামনাইদের ব্যাচ দেড় মধ্য থেকে এবার রাফেল ড্র এর পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়।  যেসব ব্যাচ পৃষ্ঠপোষকতা করেন, তারা হলো ব্যাচ  ৮৩, ৮৬ , ৮৭ , ৮৮, ৯৫, ০২ I  শত  শত উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে ছয়জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইউসুফ তালুকদার এবং ইফাত আরার  সম্পাদনায় এলামনাই সদস্যদের স্মৃতিকথা ও নিবন্ধ নিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্মরণিকায় বাণী প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড: সত্য প্রসাদ মজুমদার , অটোয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড: খলিলুর রহমান , প্রফেশনাল ইঞ্জিনীয়ার্স অফ অন্টারিওর প্রেসিডেন্ট রয়ডন ফ্রেজার , এবং ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট আব্দুস সবুর। 
 
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে ম্যাগাজিনের প্রধান বিজ্ঞাপনদাতা পাওয়ারড বাই স্পনসর ব্যারিস্টার ওমর  জাহিদ, রিয়ালটর আব্দুল আওয়াল এবং মর্টগেজ এজেন্ট বজলুর মারুফ;  তিন প্ল্যাটিনাম স্পনসর ব্যারিস্টার শামীম আরা, রিয়ালটর কামরুল হাসান নির্ঝর , টেকনোভিশন এর প্রধান নির্বাহী সায়েদুর রহমান জানানো হয় সম্মাননা।

আরো যাদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় তারা হলেন, গোল্ড স্পনসর শান দে , গৌতম পাল এবং মোহাম্মদ আলী শাওন, নিপা কর , ইন্সেপ্টার ইশতিয়াক আহমেদ , খান বিল্ডার্স এর রোকেয়া সুলতানা এবং নুরুল হুদা খান ,মোহাম্মদ সুরুজ্জামান, দুলাল ভৌমিক, রিয়ালটি ২১ এর বাদশা এলাম এবং নিলুফা বানু এবং রাফি আলম।

অতিথিদের নৈশভোজে আপ্যায়িত করার মধ্য দিয়ে এই বর্ণাঢ্য আয়োজনটি সমাপ্ত হয়।