- ● যেভাবে ‘টেসলা’য় কর্মরত বাংলাদেশের রাফা
- ● A Decade of Recitation Elegance: Bachonik Celebrates 10 Years of Artistic Brilliance
- ● বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুয়েট নাইট অনুষ্ঠিত
- ● ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- ● শনিবারের কলমে হিমাদ্রী: মায়ের “শেখসাব”
- ● সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৫তে, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
- ● গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’
- ● দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশ তরুণ নেতাদের তালিকায় মাশরাফি
- ● ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ ২০২১ পাচ্ছেন যারা
- ● প্রসংশায় ভাসছে জিয়া হাসানের সাথে ঘরোয়া’র স্বত্বাধিকারীর আলাপচারিতা
করোনাভাইরাস মুক্ত থাকতে শিশুদের করণীয়
কোভিড-১৯ এর তাণ্ডব থেমে না গেলেও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বাড়তি সর্তকতা মেনে অনেক স্থানেই লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে খুলছে সবকিছু। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। সঙ্গত কারণে শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতি জোর দিতে বলছেন শিশুবিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে জনৈক শিশু শিশুবিশেষজ্ঞ বলছেন, ‘করোনাভাইরাস সম্পর্কে শিশুকে সঠিক ধারণা দিন। তাকে বুঝিয়ে বলুন, এটি একটি ভাইরাস; ছোঁয়াচে রোগ, যা একজন থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কেন আমাদের সবাইকে ঘরে থাকতে হবে? বাইরে গেলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে— এসব বিষয়ে শিশুকে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে।’
শিশুবিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন-
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কেও শিশুকে ধারণা দিতে হবে। কীভাবে, কত সময় নিয়ে হাত ধুতে হবে, হাঁচি-কাশির সময় শিষ্টাচার মেনে চলা, হাঁচি-কাশির পর কীভাবে টিস্যু ব্যবহার করতে হবে, টিস্যু ব্যবহারের পর ডাস্টবিনে কেন ফেলে দিতে হবে শিশুকে বুঝিয়ে বলতে হবে।
এই সময় শিশুর মনে করোনাভাইরাস নিয়ে কোনো প্রশ্ন আসে, সেগুলো এড়িয়ে না গিয়ে উত্তর দিতে হবে।
লিফট ব্যবহার করলে লিফটের বাটন, ঘরের দরজার নব, সুইচ কীভাবে চাপতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানো মানে কী, কীভাবে দাঁড়াতে হবে— এগুলোর সঠিক ধারণা দিন। বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। নাক, মুখ এবং চোখে কেন হাত দেয়া যাবে না বলতে হবে।
বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে করণীয় সম্পর্কেও তারা নির্দিষ্ট করে জানাতে বলছেন শিশুকিশোরদের। তাদের মতে, শিশুদের অবশ্যই অসুস্থ ব্যক্তির থেকে দূরে রাখতে হবে। তবে তার আগে তাকে কেন দূরে রাখা হচ্ছে বুঝিয়ে বলতে হবে। জোর করে কিছু করা উচিত হবে না।
এই সময় শিশুর খাবারের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। একই ধরনের খাবার প্রতিদিন না-খাওয়ানোই ভালো। খাবারের ভিন্নতা আনতে হবে। শিশুকে পরিমিত খেতে শেখান। বেশি বেশি ভিটামিন-সি, জিঙ্ক ও আয়রনযুক্ত খাবার খেতে দিতে হবে। ফাস্টফুড জাতীয় খাবার, কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
শিশুকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ সময় মা-বাবা সন্তানের পড়াগুলো দেখিয়ে দিতে পারেন। পড়াশোনার রুটিন করে দিতে পারেন। প্রতিদিন অল্প করে পড়ার টার্গেট করে দিতে পারেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পড়া শেষ করতে পারলে তাকে পুরস্কার দেবেন এভাবে পড়াশোনার প্রতি উৎসাহিত করতে পারেন। তাতে সে ব্যস্ত থাকবে।
শিশুকে নিয়ে টেলিভিশনে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, কার্টুন দেখতে পারেন। শিশুকে গল্প বা কবিতা শোনাতে পারেন। কিছু ইনডোর গেমস আছে সেগুলো খেলতে পারেন। তবে বেশি সময় নিয়ে টেলিভিশন দেখানো যাবে না। টেলিভিশন দেখার সময় বাচ্চাদের ছোট ছোট প্রশ্নের উওর দিন।
শিশুকে গঠনমূলক কাজের ধারণা দিন। বাসার ছোট ছোট কাজগুলো করাতে পারেন। মা-বাবা যখন ঘরের কাজ করবেন তখন তার সহযোগিতা চাইবেন। কাজের লোক যখন থাকবে না তখন কীভাবে চলতে হয় সেই শিক্ষা দিন।
শিশু অসুস্থ হলে করণীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করুন। এখন অনেক চিকিৎসকই ফোনে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। প্রথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরও যদি ভালো না হয়, যদি ডাক্তার সরাসরি দেখতে চান অথবা অতি প্রয়োজন হলেই কেবল ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।