করোনায় আক্রান্ত ৪০ ভাগেরও বেশি কানাডিয়ান এখন সুস্থ

By: রাশেদ শাওন ২০২০-০৫-০২ ৩:০১:৫৭ পিএম আপডেট: ২০২৪-১১-২৩ ৩:০১:৩০ এএম কানাডা
করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সকলকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করছে কানাডার সরকার। ছবি : THE CANADIAN PRESS/Nathan Denette

করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সার্বক্ষণিক তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফোর মতে এখন পর্যন্ত কানাডায় আক্রান্তদের মোট সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মোট ক্লোজড কেস প্রায় ২৭ হাজার। মারা গেছেন ৩৩শ জনের কিছু বেশি মানুষ। সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় ২৩ হাজার রোগী। যা মোট আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় শতকরা ৪০ ভাগের চেয়েও বেশি।

এ দিকে ওয়েব সাইটের তথ্য মতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা সাড়ে ৩৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে সুস্থও হয়ে উঠেছেন ১১ লাখের বেশি রোগী বা প্রায় এক–তৃতীয়াংশ লোক।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফোর তথ্য মতে ক্লোজড কেসের মধ্যে ৮২ ভাগ মানুষ সেরে ওঠেছেন ও মারা গেছেন শতকরা ১৮ জন রোগী।

২ মে; কানাডার সময় বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৩৪ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে গত বুধবারই ৬ হাজার ৫৯৩ জনসহ মোট মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৩১ হাজার মানুষের। সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। অর্থাৎ গতকাল পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট শনাক্ত রোগীর ৩২ শতাংশের মতো।

বর্তমানে বেশি আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ইরান ও জার্মানিতে সুস্থ হওয়ার হার বেশি।

সর্বপ্রথম  চীনে এ রোগ দেখা দেয়। সেখানে সেরে ওঠা লোকের সংখ্যা ৯৪% ও মৃত্যু হয়েছে ৬% লোকের।

ওয়ার্ল্ডোমিটারস-এর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এই হার আরও বেশি। তবে দেশভেদে সুস্থতার হারে ভিন্নতা রয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনসহ দেশটির অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় শুক্রবারে আরও ৩৬ হাজার মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন আর ১৮শ ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃত্যু ৬৬ হাজার ৫শ  ছাড়িয়েছে। সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৪৭ হাজার ছাড়িয়েছে, যা সারা বিশ্বে মোট আক্রান্তের প্রায় এক–তৃতীয়াংশ।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যমতে, গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজারের কিছু বেশি রোগী। অর্থাৎ দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ১৪ শতাংশ রোগী, যা করোনার সংক্রমণ ছড়ানো শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম।