বাংলাদেশে দুই মাসে রেমিট্যান্স গেছে ৩০৮ কোটি ৫ লাখ ইউএস ডলার

By: রাশেদ শাওন ২০১৯-০৯-০৪ ১০:১২:১২ পিএম আপডেট: ২০২৪-১১-২৩ ৪:২৯:৪৬ এএম বাংলাদেশ
ছবি: প্রতীকী

চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) প্রথম দুই মাসে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স থেকে আয় করেছে ৩০৮ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার।

জুলাইয়ে ১৫৯ কোটি ৭৭ লাখ এবং আগস্টে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স অর্জন করেছে। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে রেকর্ড পরিমাণ (১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ফেব্রুয়ারিতে ১৩১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, মার্চে ১৪৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার, এপ্রিলে ১৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার, মে মাসে ১৭৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার এবং জুনে ১৩৮ কোটি ডলার ও জুলাইয়ে ১৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবাসীরা। সর্বশেষ গত আগস্ট মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৪৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার।

২০১৮ সালের জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স ছিল ১৩১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। একই বছরের আগস্টে রেমিট্যান্স  ১৪১ কোটি ১০ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৭২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এটি চলতি অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ কোটি ২৫ লাখ ডলার কম।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১ হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর প্রবাসী বাংলাদেশিদের ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ফলে প্রবাসীরা ১ হাজার টাকা রেমিট্যান্স পাঠালে প্রণোদনা হিসেবে ২০ টাকা পাবেন। এ উদ্যোগের ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।