বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১ শতাংশ

By: রাশেদ শাওন ২০১৯-০৯-০৪ ৯:৪৯:০৭ পিএম আপডেট: ২০২৪-১২-০৩ ১২:৫২:৩৮ পিএম বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

গত এক বছরে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ। ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের আগেই পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেয়া তথ্যে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।

শিক্ষার উন্নয়নে গত এক দশকে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলো সরকার। এর মধ্যে অন্যতম ছিল আরো বেশি জনগণকে শিক্ষার আওতায় আনা। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারাদেশে স্বাক্ষরতার হার বাড়াতে কাজ করেছে দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে সাক্ষরতার হার বেড়েছে মাত্র এক শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, বর্তমানে সাক্ষরতার হার বেড়ে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০১৮ সালে যা ছিলো ৭২.৯ শতাংশ। যদিও শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা একে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। কেননা, এক বছরে নারী শিক্ষার হার বেড়েছে। বেড়েছে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীর হারসহ অন্যান্য সূচক।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব আনুযায়ী, ২০১৯ সালে ৭ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ২ শতাংশ। আর ১৫ বছর বয়সীদের গড় সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

এদিকে সাক্ষরতার হার বাড়াতে নানামুখী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সাক্ষরতা কর্মসূচির মাধ্যমে ৫০ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো। বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের জন্য উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয় বহির্ভূত ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৫ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সাক্ষরতার হার আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ৮ সেপ্টেম্বর তারিখকে ঘোষণা করে। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়।