- ● যেভাবে ‘টেসলা’য় কর্মরত বাংলাদেশের রাফা
- ● A Decade of Recitation Elegance: Bachonik Celebrates 10 Years of Artistic Brilliance
- ● বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুয়েট নাইট অনুষ্ঠিত
- ● ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- ● শনিবারের কলমে হিমাদ্রী: মায়ের “শেখসাব”
- ● সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৫তে, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
- ● গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’
- ● দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশ তরুণ নেতাদের তালিকায় মাশরাফি
- ● ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ ২০২১ পাচ্ছেন যারা
- ● প্রসংশায় ভাসছে জিয়া হাসানের সাথে ঘরোয়া’র স্বত্বাধিকারীর আলাপচারিতা
করোনাভাইরাস : হাসপাতাল থেকে রোগী পালাচ্ছে কেন
বাংলাদেশে কোভিট-১৯ পজেটিভ রোগীদের অনেকেই হাসপাতাল থেকে, এমন কি কোয়ারেন্টাইন থেকেও পালিয়ে গিয়ে অনেকে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। উদ্বেগজনক বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভয় ও আতংক থেকেই অনেকে কাজটি করছেন বলে দাবী দায়িত্বশীলদের।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ড: আয়শা আকতার সম্প্রতি জানান, রোগীদের হাসপাতাল থেকে পালানোর ক্ষেত্রে মূলত তাদের মানসিক দুর্বলতা এবং ভয় কাজ করে, প্রাথমিক বিশ্লেষণে তারা এমন মনে করছেন।
বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “পালিয়ে যাওয়ার কিছু তথ্য আসছে। অনেকে হয়তো বা ভয় পেয়ে আতংকিত হয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আবার এমনও হয়, অনেকে নেগেটিভ হলে হাসপাতাল ভর্তির পর তাদের আত্নীয়রা হয়তো বুঝায় যে, এখনও টেস্টের রেজাল্ট পাওয়া যায়নি এবং এখনও যেহেতু নেগেটিভ আছে ফলে এখানে থাকার দরকার নাই।”
“অনেক পজেটিভ রোগীর পাশের কেউ শ্বাস কষ্ট নিয়ে এসে মারা যাচ্ছে, তখন সে আতংকিত হয়ে পড়ে যে আমার পাশের রোগী মারা গেছে, এখানে থাকলে হয়তো আমিও মারা যাব।”
তিনি আরও বলেছেন, “হাসপাতালে সার্বক্ষণিক ডাক্তার নার্স সবাই আছে এবং চিকিৎসা দিচ্ছে। কিন্তু তাদের মনে যে একটা ভয় বা আতংক থাকে, সেজন্য তারা তখন অস্থির হয়ে পালিয়ে যায়। তারা তখন মনে করে যে তার চিকিৎসা হয়তো হচ্ছে না। কিন্তু যথাযথ চিকিৎসা তাদের যে হচ্ছে, তারা সেটা বুঝতে পারে না।”
ঢাকায় কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত যে চারটি হাসপাতাল থেকে রোগী পালানোর তথ্য এসেছে, তার মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৩০ জনের বেশি পালিয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে দেখা যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন বলেছেন, “এটাকে পালিয়ে যাচ্ছে বলা যাবে না। এটি হচ্ছে প্রথম যখন রোগী আসে, তারপর দুই, তিন বা চারদিন থাকার পর একটু ভাল হলে তারা অনেকেই থাকতে চায় না। তারা বাড়ির পরিবেশে থাকতে চায়। সেটা কিন্তু গাইড লাইন অনুযায়ীই করা যায়। এ ধরণের ঘটনাই হচ্ছে।”
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ড: আয়শা আকতার বলেছেন, “রোগী যারা পালিয়ে যাচ্ছে, তাদের কিন্তু আনার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়াদের ডাটাবেজ কিন্তু আছে। সেক্ষেত্রে সারাদেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিন্তু কাজ করছে। তাদের ট্র্যাকিং করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেছেন, হাসপাতালে রোগীর যাওয়া আসা বন্ধ করা যায় না। এরপরও এখন কোভিড-১৯ হাসপাতালগুলো থেকে রোগীরা যাতে বের হতে না পারে, সেজন্য কড়াকড়ি করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি