- ● যেভাবে ‘টেসলা’য় কর্মরত বাংলাদেশের রাফা
- ● A Decade of Recitation Elegance: Bachonik Celebrates 10 Years of Artistic Brilliance
- ● বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুয়েট নাইট অনুষ্ঠিত
- ● ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- ● শনিবারের কলমে হিমাদ্রী: মায়ের “শেখসাব”
- ● সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৫তে, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
- ● গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’
- ● দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশ তরুণ নেতাদের তালিকায় মাশরাফি
- ● ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ ২০২১ পাচ্ছেন যারা
- ● প্রসংশায় ভাসছে জিয়া হাসানের সাথে ঘরোয়া’র স্বত্বাধিকারীর আলাপচারিতা
টরোন্টোতে মুখে মাস্ক পরা বাধ্যাতামূলক: যা জানা প্রয়োজন
আগের ঘোষণা অনুযায়ি এই সপ্তাহ থেকে জনসমাগম হয় এমন স্থানগুলোতে মুখে মাস্ক পরার নতুন আইন চালু হয়েছে টরোন্টো শহরে। কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট মহামারীতে আরোপিত লকডাউন তুলে নেওয়ার দ্বিতীয় ধাপে জন সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সিটি অব টরোন্টো জরিমানার বিধান রেখে বাধ্যতামূলক ভাবে মুখে মাস্ক পরিধানের নতুন আইন করেছে। সঙ্গত কারণে আইনটির নানা দিক নিয়ে জনগণের মধ্যেও রয়েছে জিজ্ঞাসা।
নতুন আইনটির নানা দিক নীচে তুলে ধরা হল।
মুখে মাস্ক পরিধান করতে হবে যখন:
টরোন্টোর মেয়র জন টোরির ঘোষণানুযায়ি, পাবলিক প্লেসগুলোর পাশাপাশি জনাসমাগম বেশি থাকে এমন স্থানগুলোতে মুখে মাস্ক পরতে হবে। এর অর্থ হল- টিটিসি পরিচালিত যানবাহনে, টরোন্টোর আইল্যান্ডেগুলোতে চলাচলকারী ফেরিতে, রেস্তোরায় খেতে গেলে, মলে, গ্রোসারি দোকানে গেলে, এমন কি অন্যান্য দোকানগুলোতে কেনাকাটা করার সময় মাস্ক পরতে হবে।
টরোন্টোর অধিবাসীদের ঘরে থাকার সময় মাস্ক পরতে হবে না। এ ছাড়া রেস্তোরাগুলোতে বসে খাওয়ার সময় এবং যেসব কর্মস্থলে সামাজিক দুরুত্ব মেনে কাজ করা সম্ভব সেসব স্থানেও এ আইন মেনে চলার প্রয়োজন নেই। চাইল্ড কেয়ার সেন্টারগুলোর ক্ষেত্রে এই আইন মেনে চলার প্রয়োজন নেই।
স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে মাস্ক না পরলে যা ঘটবে:
মুখে মাস্ক পরলে যাদের নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, যাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে, তাদের মাস্ক না পরলে কোনো সমস্যা নেই। তারা যথাসম্ভব সামাজিক দুরুত্ব মেনে জনাসমাগম স্থলে চলাচল করতে পারবেন।
দুই বছর বয়সের নীচে শিশুদেরও মাস্ক পরতে হবে না।
আইনটি যতদিন মেনে চলতে হবে:
আইনানুযায়ি জুলাইয়ের ৭ তারিখ থেকে এটি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তা কার্যকর থাকবে ফলের প্রথম সিটি কাউন্সিল মিটিংয়ের দিন পর্যন্ত। যা অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের শুরুর দিকে যেকোনো দিন। এই মধ্যে প্রয়োজন পড়লে ক্ষমতা বলে কাউন্সিল এর সময় কমাতে বা বাড়াতে পারবে।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে স্কুল খোলা পর যা ঘটবে:
স্থানীয় হেল্থ অফিসিয়ালদের মতে, স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাস্ক পরার বিষয়টি নির্ভর করছে প্রভিন্সিয়াল গর্ভমেন্টের উপর। এ দিকে অন্টারিও গর্ভমেন্ট বলছে, স্বাভাবিকভাবেই ক্লাস রুম পলিসি ঠিক করার ক্ষেত্রে প্রতিটি স্কুল বোর্ড নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
তাহলে কি সেপ্টেম্বরের শুরুতেই স্কুলগুলো খুলে যাচ্ছে?
উপরের স্টেটমেন্ট থেকে যেকেউ ভাবেত পারেন, তাহলে বুঝি, সেপ্টেম্বরের শুরুতেই স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। এই স্টেটমেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার অন্টারিও প্রিমিয়ার বলেন, “প্রতিটি বোর্ড সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন।” তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা গাইড লাইনে চলছে”।
মাস্ক না পরলে কি জরিমানা গুণতে হবে?
এর উত্তরে টরোন্টোর মেয়র খুবই টেকনিক্যাল উত্তর দেন। তিনি জানান মাস্ক পলিসির ক্ষেত্রে ‘চাপ প্রয়োগ’ নয় তার লোকেরা জনসাধারণকে ‘শিক্ষিত’ করার দিকেই বেশি মনোযোগী হবে।
এ বিষয়ে মেয়র জন টোরি বলেন, “সত্যি বলতে প্রতিটি স্থানে তদারকি করার মতো স্বামর্থ আমদের নেই। আমরা প্রতিটি স্টোরে গিয়ে এবং প্রত্যেকের কাছে গিয়ে খোঁজ নিতেও পারব না।”
তিনি আরও বলেন, “বাস্তবিক অর্থে সাধারণের কি করণীয় সে বিষয়টিকে আমরা সামনে আনার চেষ্টা করব।”
একই সময় টোরি বলেন যে প্রত্যেক ব্যবসায়ির নিজস্ব পলেসি নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তারা “নো শার্ট, নো সুজ, নো মাস্ক, নো সার্ভিস” পলিসি মেনে চলার অনুরোধ করতে পারেন।
আর কারা এই নিয়ম মানবে?
ব্র্যামটন, মিসিসাগা ও ক্যালডোন প্রসাশনও গত মঙ্গলবার একই আইন মেনে চলার ঘোষণা দিয়েছে।
ব্র্যামটন মেয়র পের্টি্রক ব্র্যাউন বলেন, “আইন মতে ৭ জুলাই থেকে তার শহরে মাস্ক পরার নিয়ম চালু করবে।”
তবে এখনো মিসিসাগা অথবা ক্যালডোন কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি।
প্রোভিন্সিয়ালি এটা কেন আবশ্যক নয়?
ফোর্ড সরকার বলছে, মাস্ক পরার বিষয়টি নিয়ে তাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু তারাও বিষয়টিকে উৎসাহিত করতে চায়। গত মঙ্গলবার প্রিমিয়ার বলেন, “নর্থদান অন্টারিও থেকে পিল এবং টরোন্টোর বিষয় পুরোপুরি আলাদা। তাই তিনি মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে চান না।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি স্থানে স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে।”
তিনি যোগ করেন, “তাদের নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্তে আমার সমর্থন রয়েছে।”
কেন এই পলিসি প্রয়োজন:
এক্সপার্টরা বলছেন মাস্ক পরলে ড্রপলেটের মাধ্যমে যে সংক্রমন হয় তা ঠেকানো সম্ভব। এছাড়া যাদের কাছ থেকে কোভিড-১৯ ছড়ানোর সম্ভাবনা রযেছে তাদের থেকে নিজেকে নিরাপদ থাকা যেতে পারে। এ বিষয়ে টরোন্টো স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডি ভিলা বলছেন, বাস্তবতা হল প্রতিনিয়তই এ মারাত্মক ভাইরাসটি ছড়িয়ে পরছে। সঙ্গত কারণেই এখনও আমাদের সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত।”