- ● যেভাবে ‘টেসলা’য় কর্মরত বাংলাদেশের রাফা
- ● A Decade of Recitation Elegance: Bachonik Celebrates 10 Years of Artistic Brilliance
- ● বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুয়েট নাইট অনুষ্ঠিত
- ● ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- ● শনিবারের কলমে হিমাদ্রী: মায়ের “শেখসাব”
- ● সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৫তে, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
- ● গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’
- ● দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশ তরুণ নেতাদের তালিকায় মাশরাফি
- ● ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ ২০২১ পাচ্ছেন যারা
- ● প্রসংশায় ভাসছে জিয়া হাসানের সাথে ঘরোয়া’র স্বত্বাধিকারীর আলাপচারিতা
মৃত্যূও হতে পারে পরোক্ষ ধূমপানে!
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কথাটা আমরা সবাই জানি। তবে প্যাসিভ স্মোকিং বা পরোক্ষ ধূমপানের কথা বা তার ক্ষতির কথা খুব একটা আমলে নেন না ধূমপায়ীরা। রাস্তাঘাটে, কর্মক্ষেত্রে, এমন কি নিজের ঘরে সবখানেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হওয়ার আশঙ্কা আছে।
ধূমপান না করলেও ধূমপানের সময় ধূমপায়ীর পাশে থাকলে একে পরোক্ষ ধূমপান বলা হয়, যা থেকে মৃত্যূর কারণও পারে।
ধূমপানে ক্যানসারসহ বেশ কিছু রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে মারা যায় ৭০ লাখের বেশি মানুষ। আর পরোক্ষ ধূমপানে মারা যায় প্রায় ৯ লাখ মানুষ। প্যাসিভ সোম্পাকিং বা সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিংয়ের কারণে ধূমপায়ীদের আশেপাশে থাকা মানুষ ফুসফুসের ক্যানসার, কফ, অ্যাজমা, গলা ব্যথা, ঠাণ্ডা লাগা, চোখের অস্বস্তিসহ নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই যতোবার ধূমপায়ীদের আশেপাশে থাকবেন আপনি, ততোবার শরীরে তামাকের ক্ষতিকর সব কেমিক্যাল প্রবেশের আশঙ্কা বাড়বে।
পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো হল
পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রে-
ফুসফুসের ক্যানসার: যেসব অধূমপায়ী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন, তাদের ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা ২০-৩০ শতাংশ বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, পরোক্ষ ধূমপানের ফলে ৪ হাজারের বেশি কেমিক্যালের ঝুঁকিতে থাকেন অধূমপায়ীরা। সেগুলোর মাঝে ৬৯টি কেমিক্যাল ফুসফুসের মতো ক্যানসার ঘটানোর জন্য দায়ী।
অ্যাজমা: পরোক্ষ ধূমপানের কারণে একজন অধূমপায়ী আরো একটি বড় অসুখের ঝুঁকিতে পড়ে, তা হলো- অ্যাজমা। এতে করে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা বেড়ে যায়।
করোনারি রোগ: কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, পরোক্ষ ধূমপান করোনারি রোগ বাড়িয়ে দেয়। রক্তের ধমনী সংক্রান্ত রোগ, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় পরোক্ষ ধূমপানের কারণে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা: পরোক্ষ ধূমপানের কারণে অ্যাজমা ছাড়াও শ্বাস-প্রশ্বাসের বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হয়। পূর্ণ বয়স্ক ও শিশু সবার ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা যায়। যদি আপনি পরোক্ষ ধূমপানের পরিবেশে থাকেন, তাহলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা পুরো জীবন ভোগাতে পারে আপনাকে।
হার্ট অ্যাটাক: পরোক্ষ ধূমপানের কারণে আপনার রক্তনালীতে জমাট বাঁধতে পারে। ধূমপানের ক্ষতিকর কেমিক্যাল আপনার হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে-
অকাল মৃত্যু: গর্ভবতীরা পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বড় ঝুঁকিতে থাকেন। এতে গর্ভবতীর শরীর যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি মা ও শিশুর অকাল মৃত্যু হতে পারে ধূমপানের ক্ষতিকর কেমিক্যালের কারণে।
শিশুর ক্ষেত্রে-
অপরিণত শিশু: গর্ভবতীরা পরোক্ষ ধূমপানের কারণে অপরিণত শিশুর জন্ম দেয়। এক্ষেত্রে ওই শিশুর ওজন হয় তুলনামূলকভাবে কম, যাতে অনেক সময় ওই শিশুর বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।
আকস্মিক মৃত্যু: নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে আকস্মিকভাবে মৃত্যুর একটি বিশেষ কারণ পরোক্ষ ধূমপান।
শ্রবণ শক্তি হ্রাস: খুব ছোটবেলা থেকেই যদি কোনো শিশু পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়, তাহলে ওই শিশুর শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে। ধূমপানের প্রভাবে শিশুর কানে ইনফেকশন হয়ে তার শ্রবণ শক্তি হ্রাস পায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া: শিশুদের ক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের একটি বড় প্রভাব হলো শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। এতে করে শিশুরা প্রায় সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি বড় ধরনের রোগের ঝুঁকিও থাকে তাদের।