- ● যেভাবে ‘টেসলা’য় কর্মরত বাংলাদেশের রাফা
- ● A Decade of Recitation Elegance: Bachonik Celebrates 10 Years of Artistic Brilliance
- ● বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুয়েট নাইট অনুষ্ঠিত
- ● ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- ● শনিবারের কলমে হিমাদ্রী: মায়ের “শেখসাব”
- ● সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৫তে, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
- ● গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’
- ● দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশ তরুণ নেতাদের তালিকায় মাশরাফি
- ● ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ ২০২১ পাচ্ছেন যারা
- ● প্রসংশায় ভাসছে জিয়া হাসানের সাথে ঘরোয়া’র স্বত্বাধিকারীর আলাপচারিতা
করোনা আক্রান্তদের সাহায্যার্থে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ শতবর্ষী দবিরুলের
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহের জন্য নিজের বাগানে হাঁটছেন পূর্ব লন্ডনের বাসিন্দা শতবর্ষী বাংলাদেশি দবিরুল চৌধুরী।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা অনলাইন বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৬ এপ্রিল বাগানে পাক দেওয়া শুরু করেন দবিরুল চৌধুরী। কয়েক দিনের মধ্যে তিনি ১০০ পাক পূর্ণও করেন। তবে আরও তহবিল জোগাতে তিনি তার এই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
রমজানে রোজা রেখেও এই হাঁটা কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন এই বাংলাদেশি। এ পর্যন্ত তিনি ৯২ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার অনুদান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন।
ফেসবুকে জাস্ট গিভিং তহবিল সংগ্রহ পেজে দবিরুল চৌধুরী লিখেছেন, ‘দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে। মূলত বাংলাদেশ ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়বে-শিশু ও অরক্ষিত পরিবারগুলো চরম ক্ষুধার শিকার হবে।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সৈনিক ক্যাপ্টেন টম মুরের কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহের জন্য সম্প্রতি নিজের বাগানে হাঁটার উদ্যোগ নেন দবিরুল চৌধুরী। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে লড়াই করা যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (এনএইচএস) কর্মীদের সাহায্যে গঠিত তহবিলে অর্থ জোগাতে বেডফোর্ডশায়ারের বাড়ির বাগানে ১০০ পাক হাঁটার ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন মুর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার বদৌলতে চার কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি অনুদান সংগ্রহ করতে সক্ষম হন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯২০ সালের পহেলা জানুয়ারি বাংলাদেশে জন্ম (তৎকালীন ভারতবর্ষ) দবিরুল চৌধুরীর। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করতে ১৯৫৭ সালে তিনি লন্ডন পাড়ি জমান।