- ● যেভাবে ‘টেসলা’য় কর্মরত বাংলাদেশের রাফা
- ● A Decade of Recitation Elegance: Bachonik Celebrates 10 Years of Artistic Brilliance
- ● বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুয়েট নাইট অনুষ্ঠিত
- ● ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- ● শনিবারের কলমে হিমাদ্রী: মায়ের “শেখসাব”
- ● সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৫তে, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
- ● গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’
- ● দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশ তরুণ নেতাদের তালিকায় মাশরাফি
- ● ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ ২০২১ পাচ্ছেন যারা
- ● প্রসংশায় ভাসছে জিয়া হাসানের সাথে ঘরোয়া’র স্বত্বাধিকারীর আলাপচারিতা
কানাডায় আশ্রয় চান এসকে সিনহা
বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা এবার কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দি স্টার জানিয়েছে।
স্টার আরো জানিয়েছে, গত ৪ জুলাই ফোর্ট এরি সীমান্ত হয়ে সিনহা কানাডায় প্রবেশ করেন এবং সেখানে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা দেন।
টরন্টো থেকে প্রকাশিত কানাডিয়ান কুরিয়ার জানিয়েছে, সিনহার সঙ্গে তার স্ত্রী সুষমাও কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।
কানাডায় করা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনে বাংলাদেশে এই সাবেক প্রধান বিচারপতি ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে সরকারের সঙ্গে টানাপড়েনের প্রসঙ্গ টেনেছেন বলে জানা গেছে।
সিনহা সেখানে দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ২ জুলাই এক বৈঠকে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে মামলায় ‘সরকারের পক্ষে’ রায় দিতে বলেছিলেন তাকে। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে।
এ বিষয়ে দি স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসকে সিনহা বলেন, “আমাকে টার্গট করা হয়েছে কারণ বিচারক হিসেবে আমি ছিলাম একজন অ্যাকটিভিস্ট। আমি যেসব রায় দিয়েছি তাতে আমলাতন্ত্র, প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, এমনকি সন্ত্রাসীরাও ক্ষিপ্ত হয়েছে। আমি এখন নিজের দেশেই অবাঞ্ছিত।”
এস কে সিনহার অভিযোগের বিষয়ে কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশনারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল দি স্টার।
হাই কমিশনার মিজানুর রহমান তাদের বলেছেন, “দেশ ছাড়ার পর থেকেই তিনি (সিনহা) সরকারের সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আসছেন, যেগুলো সঠিক নয়। তার দেশে ফেরার ক্ষেত্রেও কোনো বাধা বা হুমকি নেই। ”
“এসব কথা তিনি বলছেন শুধু তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের দাবি পোক্ত করার জন্য।”
এর আগে গতবছর ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন এস কে সিনহা। নিউ জার্সিতে ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে কেনা একটি বাড়িতেই তিনি থাকছিলেন।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
তিনি বিদেশ যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। তবে সরকারের তরফ থেকে তখন বলা হয়েছিল, দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তা দুদক দেখবে।
দেড় বছরের বেশি সময় তদন্তের পর গত ১০ জুলাই এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক; ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি করে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় সেখানে।
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসা সাবেক বিচারপতি সিনহা গতবছর যুক্তরাষ্ট্রে বসে একটি বই প্রকাশ করেন। সে সময় তিনি দাবি করেন, তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে, এ কারণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।