- ● ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- ● শনিবারের কলমে হিমাদ্রী: মায়ের “শেখসাব”
- ● সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৫তে, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
- ● গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’
- ● দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশ তরুণ নেতাদের তালিকায় মাশরাফি
- ● ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ ২০২১ পাচ্ছেন যারা
- ● প্রসংশায় ভাসছে জিয়া হাসানের সাথে ঘরোয়া’র স্বত্বাধিকারীর আলাপচারিতা
- ● "বাংলা ভাষা নিয়ে লজ্জা, সংকোচ, হীনমন্যতার কিছু নেই"
- ● করোনা’র টিকাদানে ভারত, পাকিস্থানের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ
- ● আলোচনায় নাদিম ইকবালের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘শিকড়ের ভাষা’
পুরো শহরের মাত্র দুজন মানুষ, তবু মাস্ক পরতে ভোলেন না তারা

ইতালির নোরটোসে শহরের বাসিন্দা ৮২ বছরের জিওভান্নি কারিল্লি এবং ৭৪ বছরের জিয়াম্পিয়েরো নোবিলি। ইতালির ছোট্ট শহরটিতে সরকারি বাবস্থাপনায় এই দুই প্রবীণ ছাড়া আর কেউ থাকেন না। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে কোনও রকমের ঝুঁকি নিতে চান না তারা। তাই যখনই তারা বাইরে যান, মাস্ক পরতে ভোলেন না।
কফি পান করার জন্য দেখা করা হোক বা প্রাচীন রোমান ফোয়ারা থেকে জল সংগ্রহ করতে যাওয়া, সব সময় পরস্পরের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব রেখে চলেন এই দুইজন৷ কারিল্লি এই নোরটোসে শহরেই জন্মগ্রহণ করলেও নিজের জীবনের বেশিরভাগ সময় রোমে কাটিয়েছেন৷ অবসর নেওয়ার পর ফের এখানে ফিরে আসেন তিনি৷ নোবিলি সম্পর্কে কারিল্লির শ্যালকের ভাই৷ শহরের বাইরে গিয়ে অনেক দিন পর পর নিজেদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তারা।
ইতালির পেরুগিয়া আমব্রিয়াতে এই ছোট্ট শহর নোরটোসে অবস্থিত। যার উচ্চতা প্রায় ৯০০ মিটার। ফলে সেখানে পৌঁছনোও বেশ কঠিন। প্রায় জনবিচ্ছিন্ন এমন একটি শহরে থেকেও নোরটোসের এই দুই প্রবীণ নাগরিক করোনা নিয়ে খুবই সতর্ক।
সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিওভান্নি কারিল্লি বলেন, ‘আমি এখানে একাই থাকি৷ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ি তাহলে আমাকে কে দেখবে? আমার বয়স হয়েছে ঠিকই, তবু আমার ভেড়ার পাল, ফলের বাগান, মৌচাক এসব দেখেই আমি আরও বাঁচতে চাই। আমি আমার জীবন নিয়ে খুব সুখী।’
শহরের অন্য বাসিন্দা নোবিলিও মনে করেন, নিরিবিলি এমন শহরে থাকলেও নিয়ম মানাটা তার দায়িত্ব। তার কথায়, ‘মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব মানার অর্থ শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের কারণে নয়৷ এমনও নয় এটা ভাল বা খারাপ অভ্যাসের ব্যাপার। কোনও নিয়ম তৈরি হলে নিজের এবং অন্যদের স্বার্থেই তা মানা উচিত৷ এটা একটা নীতির বিষয়’।