করোনার প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কার রাশিয়ার, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার সংশয়

By: সুখবর ডেস্ক ২০২০-০৮-১১ ৯:২০:০৭ এএম আপডেট: ২০২৪-০৪-২৬ ১০:৫১:১৩ পিএম আন্তর্জাতিক
ভ্যাকসিন নিয়ে যাচ্ছেন রাশিয়ার কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী। ছবি: আল জাজিরা /ইপিএ

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি রাশিয়ার। দেশটির প্রসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার জানিয়েছেন, মানবদেহে দুই মাসেরও কম সময় পরীক্ষা চালানোর পর বিজ্ঞানভিত্তিক সুফল পেয়ে পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে নিজেদের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের লড়াইয়ে সবার আগে নাম লেখাতে তার দেশ সফল হয়েছে বলে জানান পুতিন। 

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সরকারি সভায় রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, মস্কোর গামালেয়া ইনস্টিটিউটে উদ্ভাবিত ওই ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং তার নিজের এক কন্যার শরীরে সেটি প্রয়োগ করা হয়েছে। 

তার দেশ শিগগিরই ব্যাপক পরিসরে ভ্যাকসিনটির উৎপাদন শুরু করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

হাজারও মানুষের দেহে, সার্বিকভাবে 'ফেজ থ্রি ট্রায়াল' নামে পরিচিত এক বৃহত্তর পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনায় নিয়ে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওই ভ্যাকসিনের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে।

এর আগে, গত মাসে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছিল, ভ্যাকসিনের অনুমোদন পাওয়ার পর কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্য থেকে যারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হবেন, তাদের শরীরে এটি প্রয়োগ করা হবে।

কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি থামাতে বিশ্বজুড়ে শতাধিক সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে অন্তত চারটি ভ্যাকসিন চূড়ান্ত ‘ফেজ থ্রি’ টেস্টিং বা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এদিকে পুতিন বলেছেন, ভ্যাকসিন গ্রহণের পর তার কন্যার শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে গিয়েছিল, তবে সেই জ্বর সহসাই সেরে যায়।

'কোভিড-১৯ আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। গণমানুষের কাছে আগামি জানুয়ারিতে সহজলভ্য হবে এটি,' বলেন রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী তাতিয়ানা গলিকোভা।

এ দিকে ভ্যাকসিনটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন  বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, তড়িঘড়ি করে অনুমোদিত ভ্যাকসিনটিতে প্রচলিত দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষার তথ্য অনুপস্থিত থাকায়- এর উপর আস্থা রাখা যায় না। 

তাদের দাবি, এ পর্যন্ত ভ্যাকসিনের গুণাগুণ যাচাইয়ে ব্যাপক গণ-পরীক্ষাও করা হয়নি। অজানা কার্যকারিতা এবং সম্ভাব্য পার্শঃপ্রতিক্রিয়ার তথ্যও। তাই রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে তাড়াহুড়োকে টিকা ও সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞরা ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। 

 

 

সূত্র: রয়টার্স।