জোবায়ের মিলন'র চার কবিতা

By: জোবায়ের মিলন ২০২০-০৬-১৩ ১০:৫৪:৫২ এএম আপডেট: ২০২৪-০৪-১৯ ১:১১:৪৩ এএম সাহিত্য
অনলাইন থেকে সংগৃহীত

অনিন্দিত নরক

রুটিতে মুড়িয়ে
মগজ খাচ্ছি
বাটিতে বাটিতে লহু সরবত!
পৃথিবী একটি এলাকা
এলাকা জুড়ে
হাপিত্তেশ।
মাথা নেই
লাউয়ের ডোগা
লতিয়ে
লাফিয়ে
গাছ হয়ে উঠছে,
বনশাখে
ভায়োলিন খোঁড়ল,
পাখিরা বুঁদ
পেঁচার ডাকে
কাকগুলো সব কোকিল বেশী
কোকিল, ছেড়ে গেছে
বসন্ত শহর
শহরও কি আছে?

শেয়ালের হুক্কাহুয়া।

১০.০৬.২০

 

রাষ্ট্র বিষয়ক

মিথ্যা মিথ্যা পালক ওড়াও, কেন!
কেন পিষে পিষে মারো! আমি কি পিঁপড়া?
- বাঁচতে চাই না, অহেতুক বাঁচা।

মৃত্যুর পথটিও রেখেছ আক্রে
কেন করে রেখেছ তৈলাক্ত এমন!
বহুদিন বেঁচে ছিলাম, বেঁচে বুঝেছি-
বেঁচে থাকা কি- এখানে।
সুগম করো
কবরে বেঁচে উঠব, নি:শ্বাস ছেড়ে
শ্বাস নেব,
ওখানে মিথ্যা নেই
নেই- মেরে বাঁচিয়ে রাখার
অদ্ভুত মমি-সরযন্ত্র।
জন্মস্বাদ মিটেছে বাবু
মৃত্যুস্বাদের সুযোগ দাও; বাঁচি
এই ভুজঙ্গ বিভঙ্গ থেকে।

০৪.০৬.২০

 

রেড লিপসন

পিরিয়ড-এর রক্তের রঙ লাল নাকি নীল?
বলেছিলে, আকাশে শরৎ জাগলে সাদা অার নীলের অাধিক্য থাকে, রোদে থাকে চিকচিক।
বলেছিলে, জলে নামলে যদি শিরশির করে শরীর
বুঝে নিও জোয়ার অদূরবর্তী; খেয়াল রেখ
হাতের দিকে...
তুমি আমাকে জানতে দাওনি পিরিয়ড-এর রঙ।

স্তনের রঙও কালো নাকি খয়েরি
নাকি কালচে লাল আভার
নিখুঁত করে কোনদিন বলোনি- কিন্তু বলবে বলবে করে
গাঙচিল পোষ মানিয়ে পাঞ্জাবীর বোতামগুলো দিয়ে
'মেঘ' শব্দটি লিখে বলেছিলে, একটানা যদি
তিনটা ঋতু ভিজতে পারো আষাঢ়িয় বৃষ্টিতে
কোনো রঙই অদেখা থাকবে না, মনে রেখ...
অামাকে দেখাতে দাওনি তোমার স্তনযুগল।

মাতৃযোনি ভেদ করে আসা শিশু
ফিরলে প্রতীকি চিহ্নে; সে জানতে পারে-
যোনি, লাঙ্গল নিমিত্তে নয়, সেখানে আরেক অভিধান
করছে খেলা বিশ্ব লয়ে!
স্তন, যোনি, পিরিয়ড উহ্য রেখে- তুমি
মিনঝিরি পাখি; আমাকে বুঝতেই দিলে না
ভ্যাঁটফুল ফুটতে কতদিন লাগে।

৩১.০৫.২০

 

তখন নাভিতে লেলিহান

রাত; মৈথুন শেষে
কাত হয়ে ঘুমে পড়ে; জিল্লিতে
বরুদ ঘষা হলে শেষ
বন পোড়ে আগুনে- তখন নাভিতে লেলিহান।

মনে পড়ে সুলতানা
শীতের দুপুর?
মা গেছে চাকরিতে
বাবা বাড়ি নেই তিন দিন
বিছানা ও বালিশের সেসব মলাট?
চন্দন-আঙুল চুষে
গোধূলী হয়েছিল লাল
ছাদের করমচা ডালে
দোয়েলে দোয়েলে ঠোকাঠোকি
মালাটা ছিড়ে পড়ে শহর সয়লাব; শিৎকার।
মনে পড়ে সুলতানা
কিছু দিন, ঋণ?

২৪.০৫.২০

 

 জোবায়ের মিলন, কবি।