অক্টোবরে জন্ম নেওয়া শিশুরা দীর্ঘজীবী হয়

By: রাশেদ শাওন ২০১৯-১০-০৬ ১০:৫৫:৫৩ এএম আপডেট: ২০২৪-০৩-২৯ ৪:৩৫:৫১ এএম লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, অক্টোবর মাসে জন্মগ্রহণকারীদের ১০০তম জন্মদিন উদযাপনের সম্ভাবনা বেশি থাকে। গবেষকরা বলছেন, এ মাসে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের দীর্ঘ জীবনযাপনের ইতিহাস বেশি দেখা গেছে।

জন্ম মাসের প্রভাব নিয়ে গবেষণাটি করেছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ১৮৮০ থেকে ১৮৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী লোকজনের মধ্যে যারা ১০০ বছর জীবনকালের অধিকারী হয়েছিলেন, তাদের জন্ম মাস পর্যালোচনা করা হয়েছে এ গবেষণায়।

আরো দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বর মাসে জন্মগ্রহণকারীদেরও দীর্ঘজীবন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মার্চ, মে এবং জুলাই মাসে যারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তারা অন্যান্য মাসের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম শতবর্ষী ছিলেন।

উত্তর গোলার্ধে জন্মগ্রহণকারী মানুষজনের জীবনকাল নিয়ে আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বসন্তকালে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের তুলনায় শরৎকালে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের জীবনকাল বেশি ছিল। 

এ গবেষণার পেছনে বেশ কয়েকটি তত্ত্ব কাজ করেছে। সেগুলোর একটি হল- যে শিশুরা গ্রীষ্ম এবং শীতের খুব উচ্চ এবং নিম্ন তাপমাত্রা এড়িয়ে যাওয়ার কারণে কিছু মৌসুমী অসুস্থতার ঝুঁকি কম ছিল, বলেন নিউ ইয়র্কের খ্যাতনামা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নেসোচি ওকেকে ইগবোকউ। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত অক্টোবরের শরৎকালে জন্মগ্রহণ করা মৌসুমী অসুস্থতার সংস্পর্শের বিরুদ্ধে কিছুটা সুরক্ষামূলক প্রভাব তৈরি করে, যা শেষ পর্যন্ত একজনের দীর্ঘায়ুতে প্রভাব ফেলতে পারে।’

তবে গবেষকরা পুরোপুরি নিশ্চিত নন যে, এটি কেন একটি প্রবণতা এবং এখনও তা তাত্ত্বিকভাবে চলছে।

ডা. নেসোচি বলেন, ‘পরিবেশগত অনেক কারণ রয়েছে, যা জীবনকালে প্রভাব রাখতে পারে। খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক সক্রিয়তার মাত্রা এবং ধূমপানের মতো ক্ষতিকর অভ্যাস এড়ানো এর মধ্যে কয়েকটি বিষয় যা অবশ্যই দীর্ঘায়ুতে অবদান রাখতে পারে। মূলত, এমন অনেকগুলো কারণ রয়েছে যা দীর্ঘ জীবনকালের সম্ভাবনা তৈরি করে দেয়।’