- ● যেভাবে ‘টেসলা’য় কর্মরত বাংলাদেশের রাফা
- ● A Decade of Recitation Elegance: Bachonik Celebrates 10 Years of Artistic Brilliance
- ● বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুয়েট নাইট অনুষ্ঠিত
- ● ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- ● শনিবারের কলমে হিমাদ্রী: মায়ের “শেখসাব”
- ● সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৫তে, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
- ● গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’
- ● দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশ তরুণ নেতাদের তালিকায় মাশরাফি
- ● ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ ২০২১ পাচ্ছেন যারা
- ● প্রসংশায় ভাসছে জিয়া হাসানের সাথে ঘরোয়া’র স্বত্বাধিকারীর আলাপচারিতা
‘ইসলাম ভালোবাসার কথা বলে’
৩১ আগস্ট, বিকালে টরন্টো’র ৯ নম্বর ডয়েজ রোড মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হল ‘নলেজ অব ইসলাম’ শিরোনামে সেমিনার। টরেন্টর ঢাকা ক্লাব আয়োজিত অনুষ্ঠানটিতে আলোচক হিসেবে অংশ নেন তরুণ ইসলামিক স্কলার সৈয়দ ফয়েজউদ্দিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন রাফি সৈয়দ।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করে- ঘরোয়া রেস্টুরেন্ট, কানাডা বাংলাদেশ ট্রেড প্রমোশন সেন্টার ও আইপি ওয়ার্ল্ড। মিডিয়া সহেযাগিতায় ছিল আজান টিভি ও সুখবর টোয়েন্টি ফোর ডটকম।
সৈয়দ ফয়েজউদ্দিন তার আলোচনায় ইসলামের আলোকে পরিবারে পিতামাতা ও সন্তানের মধ্যে সম্পর্ক এবং স্বামী-স্ত্রী মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি আলোচনার শুরুতে বলেন, ‘কুরআন এবং সুন্নাহ অর্থ হচ্ছে মানবাধিকার। তবে কুরআন ও হাদিসি বই সবসময় আমাদের ঘরের সবচেয়ে উঁচু স্থানে সাজানো থাকে। এটি ঘর সাজানোর কোনো বস্তু নয়। আমরা শুধু এঁকে সম্মানই করি, চর্চা করি না।’
কুরআনে বর্ণিত হযরত ইব্রাহিম (আঃ) –এর কাহিনি উল্লেখ করে পিতা ও পুত্রের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত তা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সন্তানকে সবসময় আদর করে ডাকি না। তাদের উপরে সবকিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। অথচ কুরআন বলছে, নবী তার ছেলেকে সম্বোধন করলেন ‘প্রিয় বাছা’ বলে। আবার সন্তানও তার পিতাকে আদবের সাথে ভালোবাসার ডাকে ডাকতেন। এখানে একে অন্যের প্রতি পারস্পরিক শ্রাদ্ধাবোধের যে শিক্ষা আমরা পাই সেটাই আমাদের মেনে চলা উচিত। তা শুধু ঘরের বাইরেই নয়, ঘরেও’।
‘কন্যার সাথে পিতার সম্পর্ক হওয়া উচিত সহমর্মিতার। কোনো কন্যা যদি কাওকে ভালোবেসে ফেলে, তাহলে তা পিতাকে বলতে পারতে হবে। আর পিতারও উচিত কন্যার পছন্দকে সম্মান করা। ইসলাম ভালোবাসার কথা বলে। কারও উপরে কিছু চাপিয়ে দেওয়ার কথা ইসলাম সমর্থনও করে না, কোথাও জোরজবদস্তির কথাও বলা নেই।’ বলেন তিনি।
তিনি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত যে বিষয়ে আলোকপাত করেন। ‘স্ত্রীকে সম্মান করতে হবে। অনেকেই আছেন ঘরের বাইরে সমাজসেবা করেন, ভদ্র আচরণ করেন। কিন্তু ঘরে এলেই তার সবকিছু বদলে যায়। স্ত্রী-সন্তানের সাথে ধমকের সুরে কথা বলেন। ইসলাম এমন আচরণকে কখনই সমর্থন করে না। স্ত্রীরও উচিত স্বামীর ভালো কাজকে সমর্থন করা। স্বামী-স্ত্রী মানেই একে অন্যেকে ভালোবাসবেন, সহযোগীতা করবেন।’ বলেন ফয়েজউদ্দিন।
আয়োজকরা জানান, এ ধরণের অনুষ্ঠান এটিই প্রথম। তবে তারা নিয়মিত এ ধরণের আয়োজন আরো করতে চায়।