যেভাবে ‘টেসলা’য় কর্মরত বাংলাদেশের রাফা

By: সুখবর ডেস্ক ২০২৩-১১-১৬ ১১:৪৪:২৪ এএম আপডেট: ২০২৪-০৪-২৮ ৮:১৪:২৯ পিএম তারুণ্য
টেসলা মডেল ওয়াই গাড়ির সঙ্গে রাফিয়া। ছবি: সংগৃহিত।

রাফিয়া রহমান রাফা ২০২৩ সালের শুরুতে টেসলার গ্লোবাল সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ইন্টার্নশিপ শুরু করেন। তারপর পদোন্নতি পেয়ে কাজ শুরু করেন একই বিভাগে গ্লোবাল সাপ্লাই অ্যানালিস্ট হিসেবে। রাফার টেসলায় পথচলা শুরু থেকেই সহজ কোনো ব্যাপার ছিলো না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জন করেছেন এই জায়গা। সেই গল্প শোনাব আজ আপনাদের।

 

বুয়েটে পড়ার স্বপ্ন রাফার ছোটবেলা থেকেই ছিল। সে স্বপ্ন পূরণে ২০১৪ সালে পা রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। ভর্তি হন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগে। পছন্দের বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর দেখতে শুরু করেন উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন। বুয়েট থেকে পাশ করে বেরিয়ে আড়াইবছর চাকরিও করেছিলেন। চাকরির পাশাপাশি চলছিলো উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি।

সেই প্রস্তুতির পথ ধরে ২০২২ সালে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট অ্যারলিংটনে স্প্রিং সেশনে সুযোগ পান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর করার।

 

স্নাতকোত্তর করার পাশাপাশি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করেছিলেন রাফা। তারপর ইন্টার্ন হিসেবে যুক্ত হন টেসলা ইনকর্পোরেটেডের সাথে। টেসলা ইনকর্পোরেটেড মূলত আমেরিকার বৈদ্যুতিক যান এবং ক্লিন এনার্জিভিত্তিক পণ্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি টেসলা মোটরস নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

 

রাফার অদম্য চেষ্টাই হয়তো তাকে টেসলায় প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে।  চলতি বছরের মে মাসে ইন্টার্নশিপ শেষে রাফার স্বামীও টেসলাতেই পূর্ণকালীন কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন।

 

দেশে থাকার সময় রাফার গার্মেন্টেস সেক্টরে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। রাফা টেসলা ইনকর্পোরেটেডে ইন্টার্নশিপ শুরু করেছিলেন গাড়ির সিটিং টিমে। গাড়ির সিটের যে কভার থাকে তার কাটিং পদ্ধতি অনেকটা গার্মেন্টেসের মতোই। পূর্ব অভিজ্ঞতাই এক্ষেত্রে তাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সিটিং টিমে কাজ করে সফল হওয়ার পর রাফা যুক্ত হন গাড়ির এক্সটেরিয়র টিমে। বর্তমানে সেখানেই কাজ করছেন।

 

এখন রাফার স্বপ্ন টেসলাতে থেকে সেরা কর্মীর খেতাব জেতা।