- ● যেভাবে ‘টেসলা’য় কর্মরত বাংলাদেশের রাফা
- ● A Decade of Recitation Elegance: Bachonik Celebrates 10 Years of Artistic Brilliance
- ● বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুয়েট নাইট অনুষ্ঠিত
- ● ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’-এ ভূষিত বঙ্গবন্ধু
- ● শনিবারের কলমে হিমাদ্রী: মায়ের “শেখসাব”
- ● সুখী দেশের তালিকায় কানাডা ১৫তে, শীর্ষে ফিনল্যান্ড
- ● গিনেস বুকে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’
- ● দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দশ তরুণ নেতাদের তালিকায় মাশরাফি
- ● ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ ২০২১ পাচ্ছেন যারা
- ● প্রসংশায় ভাসছে জিয়া হাসানের সাথে ঘরোয়া’র স্বত্বাধিকারীর আলাপচারিতা
রম্য রচনা : মাস্কের যত্ন নেওয়ার ১০ উপায়
আক্কাস সাহেব প্রচুর পান খেতে পছন্দ করেন। করোনার এই সময়ে মাস্ক পরেও তিনি পান খাচ্ছেন, তাও আবার অতিরিক্ত চুন, খয়ের দিয়ে। পান খেতে গিয়ে টুকটাক চুন খসে মুখের সোনার হরিণ এন৯৫ মাস্কটি তো লাল হচ্ছেই, তবে মূল বিপত্তি ঘটছে পানের পিক ফেলার সময়। মুখে মাস্কের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে চিরিৎ চিরিৎ করে পিক ফেলার পর সেই পিক নিজের মুখেই ফেরত এসে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা! আর এদিকে মুখের সাদা মাস্কটিও নিয়েছে একেবারে রক্তবর্ণ।
মাস্কের আকালের এই দিনে এমন অসাবধানতায় মাস্ক নষ্ট করলে কীভাবে হবে বলুন? করোনময় এই পৃথিবীতে শুধু সাম্প্রতিক সময়ে নয়, আগামী কয়েকবছর ধরেই মাস্ক আমাদের মুখের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকবে। তাই মাস্কের যত্ন নিয়ে ভাবারও এখনই সময়। সঠিক যত্ন না নিলে মাস্ক দ্রুতই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে। তাই নকল এন৯৫ মাস্ক সরবরাহকারী এক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নিজেদের স্বার্থকে একপাশে রেখে এই সংকটের বাজারে মাস্ককে যত্নে রাখতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সিক্রেট সেই টিপসগুলো হল:
> জামা কাপড়ের মতো আছড়ে আছড়ে, দুহাতে ঘষে ঘষে মাস্ক ধোয়ার দরকার নেই। এতে মাস্ক প্রথম ধোয়াতেই চৌচির হয়ে যেতে পারে।
> প্রেমিক/প্রেমিকাকে চুমু খাওয়ার ক্ষেত্রে মনে করে মাস্কটি খুলে রাখুন। আপনাদের দাঁতের স্পর্শে কিংবা ঠোঁটের মাত্রাতিরিক্ত ঘর্ষণে মাস্কটি ছিড়ে যেতে পারে।
> মাস্ক পরবেন নাকি লিপস্টিক? আগে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান। তেল আর জল একসাথে না মিশলেও মাস্ক আর লিপস্টিক একসাথে মিশে যায়। এটা মাস্ক এবং লিপস্টিক দুটোর যত্নেই বেশ ক্ষতিকর।
> পানের পিক ফেলার মতোই মাস্ক পরে থুথু ফেলার ক্ষেত্রে সাবধান। এতে নিজের মুখটাও নষ্ট করবেন, সাথে মাস্কও।
> বাসি মুখে মাস্ক পরা নয়। আগে মুখ ধুয়ে নিন, তারপর মাস্ক পরুন। আপনার মুখের একরাতের পুরোনো সুগন্ধ (!) মাস্কটি সহ্য করতে পারবে না, আপনিও পারবেন না।
> মাস্ক বেশিক্ষণ গলায় রাখার দরকার নেই। এতে মাস্কের এলাস্টিক লুজ হয়ে যাবে। পরে আর মুখের সাথে এডজাস্ট হবে না, নতুন মাস্ক কিনতে হবে অথবা মাস্ক মুখের পরিবর্তে গলায় পরতে হবে।
> খাবার সময় মাস্ক খুলে রাখুন। নতুবা অতি সুস্বাদু কোন খাবারের সাথে কখন যে মাস্ককে চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছেন টেরই পাবেন না। আর মাস্ক খেলে সাথে তো ভাইরাস ফ্রিই।
> আর্টিস্টিক ভাব দেখাতে গিয়ে নানান আকিঁবুকি কিংবা সেলাই ফেলাই করে মাস্ককে ছিদ্রযুক্ত চালুনে পরিণত করবেন না। করোনা ভাইরাস সামান্য ছিদ্র পেলেও ঢুকে যাবে।
> মাস্কের ইলাস্টিক কিছুদিন ব্যবহারের পরই হুট করে বড় হয়ে যায়। ফলে মুখে মাস্ক লাগালে সেটা হুট করে গলায় চলে আসে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে মাস্ক কিনেই ইলাস্টিক ছিড়ে ফেলুন। এরপর ম্যানুয়াল দঁড়ি লাগিয়ে নিন। দঁড়ি মাথার পেছনে নিয়ে ইচ্ছামত এডজাস্ট করে বাঁধুন।
> দয়া করে মাস্ক পকেটে রাখবেন না। কুঁচকে নষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া প্যান্টের পেছনে পকেটে রাখলে নানান ঝামেলা। পকেট থেকে আবার নাকে নিয়ে হয়তো দেখবেন, আপনার খুব পরিচিত এক গন্ধে নিজেই নাকে রাখতে পারছেন না। তাছাড়া অসাবধানতাবসত কোথাও বসে পড়লে আপনার চাপে মাস্কে প্লাস্টিকের ছোট অংশটুকু ভেঙ্গেও যেতে পারে।