মসজিদের মর্যাদায় ফিরছে হাজিয়া সোফিয়া, ৮৬ বছর পর আজানের ধ্বনি

প্রকাশঃ ২০-০৭-১০ ৮:৫০:২৮ পিএম
আপডেটঃ ২০২৪-১১-২৩ ১:০৮:০০ পিএম
লেখকঃ সুখবর ডেস্ক
মসজিদের মর্যাদায় ফিরছে হাজিয়া সোফিয়া, ৮৬ বছর পর আজানের ধ্বনি
ইস্তাম্বুলের হাজিয়া সোফিয়া

তুরস্কে আদালতের এক রায়ে শুক্রবার হাজিয়া সোফিয়ার জাদুঘর মর্যাদা নাকচ করে দিয়ে আবারও একে মসজিদে রূপান্তর করার ঘোষণা দিয়েছে। 

 

এরপরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান এ স্থাপনাকে মসজিদ হিসাবে মুসলিমদের জন্য উন্মুক্ত বলে ঘোষণা দেন। 

 

এবং ইস্তাম্বুলের খ্যাতনামা হাজিয়া সোফিয়ায় আজান দেয়া হয়।

 

এ দিকে তুরস্কের ইসলামপন্থী সরকারের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান এটিকে মসজিদ বানানোর আদেশে সই করেছেন বলে জানা গেছে।

 

রেচেপ তাইপ এরদোয়ান বলছেন, “আদালতের রায়ের পর নামাজ পড়ার জন্য হাজিয়া সোফিয়াকে খুলে দেয়া হবে।”

 

দেড় হাজার বছরের পুরনো হাজিয়া সোফিয়া এক সময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা, পরে তা পরিণত হয় মসজিদে, তারও পর একে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।

 

টুইটারে এক পোস্টে মি. এরদোয়ান জানান, হাজিয়া সোফিয়ার সম্পত্তি ‘দিয়ামাত’ বা তুর্কী ধর্মীয় বিষয়ক দফতরের হাতে সোপর্দ করা হবে।

 

এরপরই হায়া সোফিয়াতে প্রথমবারের মত আজান দেয়া হয়।

 

সরকার সমর্থক ‘হাবার টিভি’সহ অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলে এই দৃশ্য সম্প্রচার করা হয়।

 

এক নজরে হাজিয়া সোফিয়ার ইতিহাস:

হাজিয়া সোফিয়ার ইতিহাসের সূচনা ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে যখন বাইজান্টাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ান ইস্তাম্বুলের গোল্ডেন হর্ন নামে এক জায়গায় একটি বিশাল গির্জা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

সে সময় বিশাল গম্বুজের এই গির্জাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা এবং দালান বলে মনে করা হতো।

১২০৪ সালে ক্রসেডারদের হামলার ঘটনা বাদে কয়েক শতাব্দী ধরে হায়া সোফিয়া বাইজান্টাইনদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

অটোম্যান (ওসমান) বংশীয় সুলতান তৃতীয় মেহ্‌মেদ ১৪৫৩ সালে বাইজান্টাইন শাসকদের হাত থেকে ইস্তাম্বুল দখল করে নেন। তার আগ পর্যন্ত শহরটির নাম ছিল কনস্টান্টিনোপল।

ইস্তাম্বুল দখলের পর বিজয়ী মুসলিম বাহিনী প্রথমবারের মতো গির্জার ভেতরে নামাজ আদায় করে।

অটোম্যান শাসকেরা এরপর হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করেন। মসজিদের চারপাশে চারটি মিনার তৈরি করেন।

এর পরের কয়েকশো বছর ধরে হাজিয়া সোফিয়া ছিল অটোম্যান মুসলমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।

১৯৩৪ সালে তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষতা চালু করার প্রক্রিয়ায় মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়।

হাজিয়া সোফিয়া এখন তুরস্কের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান বলে স্বীকৃত। প্রতিবছর ৩৭ লক্ষ পর্যটক এটি দেখতে আসেন।

 

 


সূত্র: বিবিসি, সিবিসি নিউজ।

Chairman Of The Board: Syed Shamsul Alam

Editor in Chief: Tahsen Rashed Shaon

SHOKHOBOR24.COM

2994 DANFORTH AVE. | SUITE# 201

TORONTO. ON. M4C 1M7. CANADA

COPYRIGHT © 2019. ALL RIGHTS RESERVED. BY Shukhobor24.com About Us Privecy & Policy Terms & Condition