২০২০ সালে আরও এক নক্ষত্রপতন দেখল চলচ্চিত্র দুনিয়া। চলে গেলেন বর্ষীয়ান তারকা শন কনারি। যিনি হলিউডের প্রথম 'জেমস বন্ড' হিসাবেই পরিচিত সারা বিশ্বের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে।
সাতটি 'জেমস বন্ড' ফিল্মে অভিনয় করা এই অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
১৯৬২ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত একটানা ইয়ান ফ্লেমিংয়ের সৃষ্ট 'জেমস বন্ড' সিরিজের মোট ৭টি বন্ড ছবিতে অভিনয় করেছেন শন কনারি। সমালোচকদের মতে, তার মতো জেমস বন্ডকে রুপোলি পর্দায় আর কেউই ফুটিয়ে তুলতে পারেননি।
'ড. নো' (১৯৬২), 'ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ' (১৯৬৩), 'গোল্ডফিঙ্গার' (১৯৬৪), 'থান্ডারবল' (১৯৬৫) এবং 'ইউ অনলি লাইভ টুয়াইস' (১৯৬৭)- বন্ড সিরিজে প্রথম পাঁচটি ছবিতে গুপ্তচর জেমস বন্ড হিসাবে দর্শক পেয়েছিল তাকে। এরপর 'ডায়মন্ডস আর ফরএভার' (১৯৭১) এবং 'নেভার সে নেভার অ্যাগেইন' (১৯৮৩) ছবিতে ফের বন্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।
স্কটিশ এ অভিনেতা স্যার শন কনারি ঘুমের মধ্যে নিভৃতে চলে গেলেও তার জীবন ছিল আড়ম্বরপূর্ণ, সিনেমার মতোই।
রুপালি পর্দায় ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের জেমস বন্ড চরিত্রের প্রথম রূপকার শন কনারি মানেই যেন- চিতার মতো তীব্র গতি, শত্রু মোকাবেলায় ওস্তাদ, দ্রুত গতির আধুনিক প্রযুক্তির গাড়ি, ওয়ালথার পিপিকে পিস্তল, ঘিরে থাকা সুন্দরী রমনি আর সুরার পাত্রে ভদকা মার্টিনি।
তবে রুপালি পর্দা আর বাস্তব জীবন তো এক নয়। কনরির জীবনও সেই সূত্রে গাঁথা।
মলিন অতীতঃ
১৯শ’ শতকের মাঝামাঝি সময়ে শন কনারির পূর্বপুরুষরা আয়ারল্যান্ড থেকে এসে স্কটল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন।
স্কটল্যান্ড, এডিনবার্গের ফাউন্টেইন ব্রিজ এলাকায় ১৯৩০ সালে ২৫ অগাস্ট জন্ম নেওয়া থমাস শন কনারির নাম রাখা হয় দাদার নামানুসারে। তার মা ইফেমিয়া ম্যাকবেইন ম্যাকলেইন সাফসুতরোর কাজ করতেন। আর বাবা জোসেফ কনারি ছিলেন কারখানার শ্রমিক ও ট্রাক ড্রাইভার।
ছোটবেলায় শন কনারির নাম ছিল টমি কনারি। বলতে গেলে ঘিঞ্জি পরিবেশে এক রুমের মধ্যে বড় হয়েছেন তিনি। শীত প্রধান দেশ হলেও ছিল না গরম পানির কোনো ব্যবস্থা। আর ছিল একটা মাত্র শৌচাগার, যা সেই এলাকার মানুষ জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হত।
১৩ বছর বয়সেই স্কুলে ইস্তফা দিয়ে কাজে নেমে পড়েন কনারি। বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি, কফিন পালিশ, ইটের কারখানায় কাজ করেছেন। তারপর যোগ দেন ‘রয়াল নেভি’তে। তবে সেখানেও তার ভাগ্য খারাপ। পাকস্থলীর আলসার ধরা পড়ায় বাদ পড়েন সেনা বাহিনী থেকে।
এডিনবার্গে কনারি ‘শক্ত মানুষ’ হিসেবে পরিচিত। কারণ জেমস বন্ডের মতোই তরুণ বয়সে বাস্তবেও তিনি খারাপ মানুষদের সঙ্গে লড়েছেন। বিনা কারণে নয়, ছয় গ্যাং মেম্বার তার পরনের কোট খুলে নিতে চাইলে তিনি বাধা দেন। পরে তাকে অনুসরণ করতে থাকলে তিনি একজনকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন, আর এভাবেই হয়ত ভবিষ্যতের জেমস বন্ডের গোড়াপত্তনটা তার মধ্যে হয়েছিল।
ট্রাক চালানো, লাইফগার্ডের চাকরি ছাড়াও এডিনবার্গ কলেজ অফ আর্ট’য়ের মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। আর বাকি সময়টা কাটাতেন শরীর গঠন করে।
সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না!
কোনো নারীর ক্ষেত্রে এই বাক্য ব্যবহার করা যেতেই পারে। তবে শন কনরির ক্ষেত্রে এরকম ভাবেই ভাব প্রকাশ করেন এডিনবার্গ কলেজ অফ আর্ট’য়ের শিল্পী রিচার্ড ডেমার্কো, যিনি প্রায়ই কনরিকে মডেল করে ছবি আঁকতেন।
তার ভাষায়, “ভাষায় প্রকাশের চাইতেও সুন্দর, একজন অপার্থিব সুন্দর যুবক।”
কনারি ফুটবল খেলাতেও দক্ষ ছিলেন। স্কটিশ ফুটবল খেলোয়াড় এবং সেই সময়ের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড’য়ের ব্যবস্থাপক ম্যাট বাসবাই তার খেলা দেখে ২৫ পাউন্ডের বিনিময়ে দলে খেলার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় মঞ্চনাটকের দলে টুকটাক ফাইফরমাশ খাটতে খাটতে, ততদিনে অভিনয়ে পোকা তার মাথায় কিলবিল করতে শুরু করেছে।
তাই তো ফুটবলে নয় নিজের ভাগ্য পরীক্ষার জন্য তিনি বেছে নিলেন অভিনয়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “সেটা ছিল আমার জীবনের চৌকশ পদক্ষেপ।”
১৯৫৩ সালে তিনি ‘মি. ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে লন্ডনে আসেন। প্রতিযোগীদের একজনের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন এই অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে ‘সাউথ প্যাসিফি’ গীতিনাটকের জন্য নেওয়া হবে। আর যোগ্যতার গুণেই কনারি এই প্রোডাকশনের একজন দলীয় শিল্পী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে যান। পরের বছর এই প্রোডাকশনেই তিনি লেফটেন্যান্ট বাজ অ্যাডামস চরিত্রে অভিনয় করেন। যে চরিত্রটি মঞ্চনাটকে সাড়া ফেলেছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা ল্যারি হ্যাগম্যান।
সেই বছরেই দলের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আরেক বিখ্যাত অভিনেতা স্যার মাইকেল কেইনের সঙ্গে পরিচিত হন। পরে তারা দারুণ বন্ধু হয়ে যান। এছাড়া মার্কিন অভিনেতা রবার্ট হেন্ডারসনের সঙ্গেও তার দারুণ সখ্যতা গড়ে ওঠে। যিনি কনারিকে নানাভাবে উৎসাহ দিতেন অভিনয়ের ব্যাপারে। বার্নাড শ, শেক্সপিয়ারের মতো লেখকদের বই দিতেন পড়তে। আর এভাবেই বন্ধু ও সতীর্থদের হাত ধরে নিজেই শিক্ষিত হতে থাকেন।
১৯৫৪ সালে কনারি ‘লাইল্যাক্স ইন দ্য স্প্রিং’ ছবিতে ‘এক্সট্রা’ হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া টেলিভিশনে কিছু ছোটখাট অভিনয়ও করেন, যেগুলোর মধ্যে পরিচিত বিবিসি’র পুলিশ-ভিত্তিক নাটক ‘ডিক্সন অফ ডক গ্রিন’।
নারীরা তাকে পছন্দ করবে!
এক নারী যদি কোনো পুরুষকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তাহলে সেটা ফেলে দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। আর সেটাই করেছিলেন ‘ব্লাড মানি’ টিভি মুভির পরিচালক রাল্ফ নেলসন।
মার্কিন অভিনেতা জ্যাক পালান্স প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর নেলসনের স্ত্রী বুদ্ধি দিল, “কনারিকে নাও। ওকে মেয়েরা পছন্দ করবে।”
আর এভাবেই ১৯৫৭ সালে প্রথম প্রধান চরিত্রে পদার্পন করলেন শন কনারি।
এক বছর পর ‘অ্যানাদার টাইম, অ্যানাদার প্লেস’ ছবিতে লানা টার্নারের সঙ্গে অভিনয় করেন তিনি। তবে টার্নারের প্রেমিক স্টম্পানাটো ধারণা করেন কনারির সঙ্গে টার্নারের প্রেম চলছে। তাই ওই ছবির শুটিংয়ের সময় একদিন স্টম্পানাটো সেটে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র বাগিয়ে ধরেন। আর তখন পর্দার নায়ক বাস্তবেও আর্বিভূত হন কনারি।
কনারি জোর করে স্টম্পানাটোর হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এক ঘুষিতে ধরাশায়ী করেন। পরে তাকে সেট থেকে বের করে দেওয়া হয়। স্টম্পানাটো ছিলেন আমেরিকান গ্যাংস্টার মিকি কোহেনের দেহরক্ষী। ফলে তিনি কনারিকে খুন করার জন্য ভয় দেখাতে থাকে। তখন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড’য়ের গোয়েন্দাদের পরামর্শে কয়েকদিনের জন্য গা ঢাকা দেন কনারি।
তারপর বন্ডঃ
আর এখানেও নারীর হাত....।
ইয়ান ফ্লেমিংয়ের উপন্যাসের স্বত্ব পাওয়ার পর প্রযোজক কুবে ব্রকোলি ও হ্যারি সল্টজমান হন্যে হয়ে ‘জিরো জিরো সেভেন’ চরিত্রের জন্য অভিনেতা খোঁজা শুরু করলেন। তখন ব্রকলির স্ত্রী ডানা, স্বামীকে একরকম জোর করেই শন কনারিকে নিতে বলেন।
তিনি বলেছিলেন, “তার মধ্যে যে চুম্বকার্ষণ আছে সেটা দারুণ যাবে চরিত্রের সঙ্গে।”
কিন্তু ফ্লেমিং মোটেই রাজি নন। তার কথায়, “আমি কমান্ডার বন্ডকে খুঁজছি, কোনো মাত্রা ছাড়ানো স্টান্টম্যান’কে না।”
কিন্তু ডানা ব্রকলি ছিলেন ঠিক, ফ্লেমিং ছিল ভুল। সারা পৃথিবীর দর্শক শন কনারিকে এক বাক্যে ব্রিটিশ সিক্রেট এজেন্ট জেমস বন্ড হিসেবে মেনে নিল।
তবে ব্রিটিশ গুপ্তচরকে কেতাদূরস্ত বানানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন পরিচালকের এক বন্ধু টেরেন্স ইয়ং। তিনি কনরিকে নিয়ে দামি রেস্তোরাঁ, হোটেল ও ক্যাসিনোতে ঘুরতেন। আর কোথায় কোনভাবে ভদ্রতা-জ্ঞান করতে হবে তা দেখিয়ে দিতেন।
জেমস বন্ড চরিত্রটির নিজস্বতা তৈরির ব্যাপারে কনারির হাতই বেশি। তিনি একই সঙ্গে আকর্ষণীয়, নির্দয়, কৌতুক ও দয়ার অদ্ভুত এক মিশেল ঘটিয়েছেন জেমস বন্ডের মাঝে।
আর এই ফমুর্লার কারণেই হয়ত ১৯৬২ সালে মুক্তি পাওয়া জেমস বন্ড’য়ের প্রথম ছবি ‘ড. নো’ ছিল দারুণ ব্যবসা সফল। এরপর ১৯৬৩ সালে ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’, ১৯৬৪ সালে ‘গোল্ডফিংগার’, ১৯৬৫ সালে ‘থান্ডারবল’ এবং ১৯৬৭ সালের ‘ইউ অনলি লিভ টোয়াইস’, ১৯৭১ সালে ‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’, ১৯৮৩ সালে ‘নেভার সে নেভার এগেইন’ বন্ড সিরিজের ছবিগুলোতে ‘জিরো জিরো সেভেন’য়ের ভূমিকায় পর্দা কাঁপান।
তবে ‘ইউ অনলি লিভ টোয়াইস’ ছবিটি করার পর কনারি একঘেয়েমিতে পড়ে যান। তাই তখন জেমস বন্ডে অভিনয় করার দায়িত্ব দিয়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেতা জর্জ লেজেনবাই’কে। যদিও সেটা তেমন আগ্রহ জাগায়নি।
‘ডায়মন্ডস আর ফরএভার’ ছবিতে ফিরে আসার পর এত পরিমাণ ব্যবসা সফল হল ছবিটা যে, কনারি যে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তা দিয়ে ‘স্কটিশ ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ট্রাস্ট’ গঠন করেন।
‘নেভার সে নেভার এগেইন’
এই ছবিটা করার পেছনেও রয়েছে মজার ইতিহাস। ‘স্প্যানিশ ল্যান্ড’ চুক্তির বিষয়ে প্রচুর পরিমাণে অর্থ হারান এই অভিনেতা। অর্থ কষ্ট মেটাতে তিনি আবারও জেমস বন্ড ছবিতে কাজ করতে রাজি হলেন। এর আগে বলেছিলেন তিনি আর কখনও ‘জিরো জিরো সেভেন’ হবেন না।
তাই কনারির স্ত্রী মিশেলিন কনারি বলেছিলেন, ছবির এই নাম রাখতে; যাতে না কথাটা আর না বলেন।
যদিও এই ছবির পর আর কোনো বন্ড ছবিতে অভিনয় করননি। তবে অন্যান্য ছবিতে যে স্বাক্ষর তিনি রেখেছেন তাও ভুলবার নয়।
উমবের্তো ইকোস’য়ের ‘দি রোজ’ ছবিতে বাস্কারভিলের উইলিয়ামের চরিত্রে অভিনয় করে ১৯৮৮ সালে জয় করেন ‘বাফটা’ অ্যাওয়ার্ড।
‘দি আনটাচাবলস’ ছবিতে অভিনয় করে জয় করেন অস্কার। এছাড়া ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’য়ে হ্যারিসন ফোর্ডের বাবার চরিত্রে কিংবা ‘দি রক’ ছবিতে নিকোলাস কেইজের সঙ্গে অভিনয়গুলো আজও দর্শক হৃদয় নাড়া দিয়ে যায়।
‘দি হান্ট ফর রেড অক্টোবর’ ছিল তার অভিনীত অন্যতম ব্যবসা সফল ছবি। তবে অনেকেই হয়ত তার ‘দি লিগ অফ এক্সট্রাঅর্ডিনারি লেজেন্ডারি জেন্টেলমেন’ এর ছবিটির কথা জানেন না। ব্যবসা সফল না হলেও ছবিটি বেশ উপভোগ্য। জুলস ভার্নের তৈরি বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ছবিটি।
২০০৬ সালে ‘দি লর্ড অফ দি রিংস’ ছবির ‘গ্যানডাল্ফ’ চরিত্রে কাজ করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন অভিনয় করে তিনি ক্লান্ত।
আর বলেছিলেন, “ইডিয়টরা এখন হলিউডে ছবি বানাচ্ছে। যে কারণে অসুস্থ বোধ করছি।”
অবশেষে!
হলিউডের লাইফস্টাইল মোটেই পছন্দ করতেন না শন কনারি। সেকারণেই হয়ত স্পেনের নিজের বসতবাড়িতে থাকতেন আর গল্ফ খেলে সময় কাটাতেন। পর্তুগাল এবং ক্যারাবিয়ান অঞ্চলেও রয়েছে তার নিবাস, যেখানে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী চিত্রশিল্পী মিশেলিন রোকিউবার্ন-কে নিয়ে বাকিটা জীবন কাটিয়েছেন।
প্রথম স্ত্রী ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী ডাইয়েনি সিলেন্ত্রো। সেই ঘরে এক সন্তান জেসন কনারি এখন অভিনেতা।
কাঙ্ক্ষিত নাইটহুড খেতাব ২০০০ সালে ভূষিত হওয়ার পরও তিনি সার্বোভৌম স্কটল্যান্ডের জন্য সবসময় জয়গান গেয়েছেন। তার হাতের ট্যটুও আছে ‘স্কটল্যান্ড ফরএভার’।
স্যার শন কনারি, যেভাবে জীবন পার করেছেন তা বহু অভিনেতার জন্যই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের। এখন তার অভিনীত ‘জেমস বন্ড’ ছবিগুলো হয়ত সংরিক্ষত হবে জাদুঘরে। তবে কনারির জাদুর খেল আর দেখতে না পাওয়ার অতৃপ্ততা থেকে যাবে সব সময়।
Chairman Of The Board: Syed Shamsul Alam
Editor in Chief: Tahsen Rashed Shaon
SHOKHOBOR24.COM
2994 DANFORTH AVE. | SUITE# 201
TORONTO. ON. M4C 1M7. CANADA
COPYRIGHT © 2019. ALL RIGHTS RESERVED. BY Shukhobor24.com About Us Privecy & Policy Terms & Condition